Skip to main content

ধীরে ধীরে ও বসে জল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো


মানুষের শরীরের তিন ভাগের দুই ভাগ অংশেই রয়েছে জল। ছোট থেকে সকলেই শুনে আসছে জলের আর এক নাম জীবন। তবে কীভাবে জল খাওয়া উচিত, বা কতটা পরিমাণ জল সারাদিনে খাওয়া উচিত সেসব ক্ষেত্রে বেশিরভাগ মানুষের মনেই নানাবিধ প্রশ্ন আছে। প্রতিদিন আমাদের শরীর থেকে বেশ বড় পরিমাণে জল বের হয়ে ঘাম ও মল-মূত্রের সঙ্গে। সেই অভাব মেটাতে সারাদিনে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া জরুরি।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানুষ জল খাওয়ার সময় কিছু না ভেবেই খেয়ে নেন। পরিবারের বড়দের কথায় দাঁড়িয়ে জল খাওয়া একদম ঠিক নয়। সেইসঙ্গে প্রাচীন আয়ুর্বেদ মতে, জল খাওয়া উচিত ধীরে এবং বসে। দ্রুত জল খেলে শরীরে উপকার হওয়ার থেকে ক্ষতি হয় বেশি। দাঁড়িয়ে জল খেলে মানুষের শরীরের স্নায়ুগুলো টানটান থাকে, সেইসময় জল খাওয়াও হয় খুব দ্রুত। এ কারণে আর্থ্রাইটিস ও শরীরের বিভিন্ন অস্থিসন্ধির সমস্যাগুলো তৈরি হয়। আয়ুর্বেদে শুধু জল খাওয়া নয়, যে কোনও খাবারই সময় নিয়ে, ধৈর্য ধরে খেতে বলা হয়েছে। এতে খাবার সঠিক উপায়ে হজম হয়। জল খাওয়ার ক্ষেত্রও একই কথা প্রযোজ্য।
জল খেতে হবে নিঃশ্বাস গ্রহণের মতো, ধীরে এবং প্রাণ ভরে। দ্রুত জল খেলে শরীরে অক্সিজেনের অভাব হতে পারে, এ থেকে দেখা দিতে পারে হৃদরোগ এবং ফুসফুসের সমস্যা। জল খুব তাড়াতাড়ি খেলে অন্ননালীর ওপরের অংশটিতে চাপ পড়ে। এ থেকে হতে পারে অস্থি এবং অস্থিসন্ধি ক্ষয়, অস্থিসন্ধির দুর্বলতা এবং ব্যথা।
এসব কারণেই, দাঁড়িয়ে জল খাওয়ার বিষয়টিকে ব্যাপারটিকে কুসংস্কার মনে হলেও আসলে তা মেনে চলাই ভালো। দাঁড়িয়ে জল খাওয়ার মতো একই সমস্যা হতে পারে যদি বসে দ্রুত জল খাওয়া হয়। সুতরাং আপনি যে অবস্থাতেই থাকুন না কেন, জল খাওয়ার সময় অবশ্যই বসে ও ধীরে ধীরে খাওয়া উচিত। এই সমস্ত খুঁটিনাটি ব্যাপারগুলি খেয়াল রাখলে অনেক বড় সমস্যার হাত থেকে শরীরকে বাঁচানো সম্ভব।



Popular posts from this blog

ভারতে নদীর গুরুত্ব - বাংলা রচনা | Bengali Essay on The Importance of Rivers in India | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

ভারতে নদীর গুরুত্ব - বাংলা রচনা | Bengali Essay on The Importance of Rivers in India | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI ভারতে নদীর গুরুত্ব উচ্চ পর্বত বা উচ্চভূমি থেকে নির্গত হয়ে নদী যখন সুদীর্ঘ অঞ্চলের মধ্য দিয়ে সাগরের দিকে প্রবাহিত হয়, তখন তা অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সৃষ্টি করে। কিন্তু শুধু প্রাকৃতিক শােভা সৃষ্টি করাই নদীর কাজ নয়। মানবসভ্যতায় নদীর অন্যান্য গুরুত্ব অসীম। বিশেষত সুপ্রাচীনকাল থেকেই ভারতীয় সভ্যতায় নদীর গুরুত্ব অপরিসীম। ভারতের সর্বাপেক্ষা প্রাচীন সভ্যতা সিন্ধু সভ্যতা সিন্ধু নদীর উপত্যকায় গড়ে উঠেছিল। বৈদিক সভ্যতার কালেও নদীর তীরেই অধিকাংশ রাজধানী ও নগর স্থাপিত হয়েছিল। দৃষ্টান্তস্বরূপ গঙ্গানদীর তীরে অবস্থিত কাশী, পাটলিপুত্র ইত্যাদি নগরের নাম উল্লেখ করা যায়। এছাড়া নদীগুলি যাতায়াতের এবং মালপত্র পরিবহনের প্রধান উপায় ছিল। দক্ষিণ ভারতের নদীগুলিতে বছরের সবসময় পর্যাপ্ত জল থাকে না এবং আরও নানা কারণে এগুলি সারাবছর পরিবহনের উপযুক্ত থাকে না। কিন্তু উত্তর ভারতের গঙ্গা, ব্ৰত্মপুত্র এবং অন্যান্য বহু নদীতে সারাবছর প্রচুর জল থাকে বলে পরিবহন, জলসেচ ইত্যাদি কাজে এগু...

জাতীয় সংহতি ও বিচ্ছিন্নতাবাদ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on National Solidarity And Separatism | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

জাতীয় সংহতি ও বিচ্ছিন্নতাবাদ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on National Solidarity And Separatism | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI জাতীয় সংহতি ও বিচ্ছিন্নতাবাদ জাতীয় সংহতি বলতে বােঝায় কোনাে জাতির জনসাধারণের মধ্যে একতার মনােভাব। বস্তুতপক্ষে যে-কোনাে স্বাধীন রাষ্ট্রের সার্বিক উন্নতির মূলে সর্বাগ্রে প্রয়ােজন দেশের জনগণের মধ্যে নিবিড় ঐক্যবােধ। দেশের মানুষ যদি ঐক্যবদ্ধ হয় ও সম্মিলিতভাবে কাজ করে, তবে সে দেশ ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে এগিয়ে যায়। জাতীয় সংহতি কেবল জাতির উন্নতিসাধনই করে না—দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে এবং বৈদেশিক শাসন প্রতিহত করে। তাই যে-কোনাে স্বাধীন রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও উন্নতির মূলশক্তি হল জাতীয় সংহতি।ভারতবর্ষ বহু জাতি, ধর্ম ও সম্প্রদায়ের দেশ। এখানে বৈচিত্র্য রয়েছে অনেক। এই বৈচিত্র্যহেতু ইতিহাসের বিভিন্ন পর্বে বিরােধ-সংঘাতও যথেষ্ট হয়েছে। কিন্তু সেটাই বড়াে কথা নয়, বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যসাধনই ছিল ইতিহাসের লক্ষ্য। ভারতবর্ষের ইতিহাসের প্রধান সার্থকতা এই বৈচিত্র্যের মধ্যেঐক্যসাধন। ভারতবর্ষ অধিকার করে ব্রিটিশ শাসক উপলব্ধি করেছিল এ দেশের মূলশক্তি—নিবিড় জাতীয়ত...

গ্রামের হাট - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Village Market | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

গ্রামের হাট - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Village Market | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI গ্রামের হাট গ্রামে বেচাকেনার মাধ্যম হল হাট। কতগুলাে গ্রামকে কেন্দ্র করে হাট গড়ে ওঠে। সেই হাটেই গ্রামের মানুষেরা তাদের প্রয়ােজনীয় জিনিস ক্রয়-বিক্রয় করে। কোথাও নদীর ধারে, রাস্তার পাশে আবার কোথাও বা গাছের নীচে হাট বসতে দেখা যায়। আশেপাশের বেশকিছু গ্রামের সঙ্গে হাটের যােগাযােগ থাকে। বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ গ্রামের হাটে জিনিসপত্র বিক্রি করতে আসে। গােরুর গাড়ি অথবা ভ্যান ও রিক্সা করে হাটে জিনিসপত্র আনা হয়। এ গ্রামে সন্ধে পর্যন্ত মানুষের আনাগােনা চলে ।এই হাটে। এক কথায় হাট হল মানুষের মিলনক্ষেত্র। বিভিন্ন আত্মীয়-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব এদের সাথে যােগাযােগ রক্ষা করে হাট। মানুষের সাথে মানুষের সুখ-দুঃখের আদান প্রদান ঘটে এই হাটে। গ্রামের হাট - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Village Market | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI গ্রামের হাট - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Village Market | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI গ্রামের হাট - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Village Ma...

একটি গাছ একটি প্রাণ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on A Tree A Life | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

একটি গাছ একটি প্রাণ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on A Tree A Life | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI একটি গাছ একটি প্রাণ “আয় আমাদের অঙ্গনে অতিথি বালক তরুদল— মানবের স্নেহ অঙ্গনে চল্ আমাদের ঘরে চল্।” —রবীন্দ্রনাথ বৃক্ষ মানুষের আপনজন, জননীতুল্য। বৃক্ষই পৃথিবীতে প্রাণের অগ্রদূত। মানুষের আগমনের পূর্বেই সে পৃথিবীতে এসে মানুষের জন্য খাদ্য এবং শীতল ছায়া দিয়ে প্রতীক্ষা করছিল তার আবির্ভাবের বিশ্বকবির কবিতায় গাছ ‘আদিপ্রাণ'। কিন্তু বর্তমান শহরকেন্দ্রিক সভ্যতায় কৃতঘ্ন মানুষ নিজহস্তে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে ধোঁয়ায় পরিপূর্ণ পরিবেশ। তবে ধীরে ধীরে বৃক্ষরােপণের প্রয়ােজনীয়তা মানুষের মধ্যে শুভবােধ জাগ্রত করছে। আমাদের দেশের বনভূমি জাতীয় উৎপাদনে এক উল্লেখযােগ্য ভূমিকা পালন করে। এই বনভূমি কেটে ফেলার অর্থ মরুভূমির সূচনা, মৃত্যুপুরীর আহ্বান। অর্থাৎ অনাবৃষ্টি, খরা, অনুর্বর শস্যখেত, দূষিত পরিবেশ। অরণ্যায়নের মাধ্যমে সম্ভব হয় মরুভূমির বশীকরণ। বৃক্ষরােপণের উদ্দেশ্যই হল অরণ্যের তরু শিশুদলকে মানব সমাজের সান্নিধ্যে আহ্বান করা। পর্যাপ্ত সংখ্যক বৃক্ষরােপণ দিতে পারে ধরণীর ক্ষতবেদনা নিরাময় কর...

সাম্প্রতিক কয়েকটি ভূমিকম্প - বাংলা রচনা | Bengali Essay on A Few Recent Earthquakes | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

সাম্প্রতিক কয়েকটি ভূমিকম্প - বাংলা রচনা | Bengali Essay on A Few Recent Earthquakes | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI   সাম্প্রতিক কয়েকটি ভূমিকম্প স্বাভাবিকভাবে মানুষের জীবনস্রোত প্রবাহিত হয় এই পৃথিবীতে। কিন্তু মাঝে মাঝে জীবনবিধাতা যেন এর ছন্দপতন ঘটাতে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি করেন। বন্যা, ঝড়ঝঞ্ঝা ও ভূমিকম্প হল প্রাকৃতিক বিপর্যয়। ফলে মানুষের জীবন ও সম্পত্তির বিপুল ক্ষতি হয়। আধুনিক যুগ বিজ্ঞানের যুগ। বিজ্ঞানের শক্তিবলে মানুষ প্রাকৃতিক শক্তিকে জয় করবার চেষ্টা করছে। তবুও মাঝে মাঝে সে হার মানে। মানুষ নিদারুণ ক্ষতিগ্রস্ত হয় বন্যা, ঝড়ঝঞ্ঝা ও ভূমিকম্পে। ভূমিকম্প প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সর্বশ্রেষ্ঠ শক্তি। পৃথিবীর অভ্যন্তরে হঠাৎ কোনাে কম্পন যদি ভূ-ত্বককে আন্দোলিত করে,তবে তাকেই বলা হয় ভূমিকম্প। শিলাস্তরে অতিরিক্ত চাপের ফলে ভূমিকম্প হয়। এ ছাড়া আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত কিংবা উল্কা ও ধমকেতুর সঙ্গে ভু-পৃষ্ঠের সংঘর্ষেও ভূমিকম্প হতে পারে। তবে শিলাস্তরে চাপ ও ভাঙনই ভূমিকম্পের প্রধান কারণ। পৃথিবীর দুটি বলয়ে হিমালয় ও আল্পস পার্বত্য বলয় এবং প্রশান্ত মহাসাগরের উভয় তীরস্থ বলয়ে...

গ্রীষ্মের দুপুর - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Mid Day of Summer | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

গ্রীষ্মের দুপুর - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Mid Day of Summer | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI গ্রীষ্মের দুপুর গ্রীষ্মের দুপুরে সূর্য আগুন ঢালে। মানুষ-পশু-পাখি ছায়ায় আশ্রয় নেয়— কেউ ঘরের ছায়ায়, কেউ গাছের ছায়ায়। শহরে বাড়িতে বাড়িতে পাখা ঘােরে। রাস্তাঘাটে লােকজন নজরে কম আসে। পাতিকাকের ডাক, আইসক্রিমওয়ালার চিৎকারে সব কিছু কেমন থমথমে মনে হয়। গ্রামের গাছতলায় গােরু-বাছুর জড়াে হয়ে বিশ্রাম নিতে থাকে। রাখাল বালকেরা বাঁশি বাজায়। দু-একজন মানুষ মেঠো পথ দিয়ে ধীরে ধীরে চলতে থাকে। গাঁয়ের বধূরা দুপুরের স্নান সেরে কলশি কাধে ঘরে ফিরে চলে। ঘুঘু ডাকে একটানা। দাঁড়কাক ‘কাকা’ করে। কখনও কোনাে মােরগের চিৎকার মনটাকে উতলা করে তােলে। স্কুলের লেখাপড়া বন্ধ থাকে। ছােটো ছেলে-মেয়েরা ঘরের মাঝে চুপচাপ থাকতে বাধ্য হয়। গা দিয়ে অনবরত ঘাম ঝরতে থাকে। প্রচণ্ড গরমে কোথাও একটু স্বস্তি বা আরাম মেলে না। গ্রীষ্মের দুপুর - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Mid Day of Summer | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI গ্রীষ্মের দুপুর - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Mid Day of Summer | Bangla Paragr...

সর্বশিক্ষা অভিযান - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Sarva Shiksha Abhiyan | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

সর্বশিক্ষা অভিযান - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Sarva Shiksha Abhiyan | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI  সর্বশিক্ষা অভিযান সর্বশিক্ষা অভিযানের মূল স্লোগান সবার উন্নতি, সবার জন্য শিক্ষা। ১৯৫০ সালে ভারতবর্ষের সংবিধানে স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং বাসভূমি ব্যবস্থার নির্দেশনা গৃহীত হয়েছিল। সেই সংবিধান স্বীকৃতি জানিয়েছিল সর্বজনীন অবৈতনিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক হবে। কিন্তু ২০০৭ সাল পর্যন্ত দেখা যায় পশ্চিমবঙ্গ শুধু নয় ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রদেশে নিরক্ষরতার অবস্থান বিশেষ উদ্বেগজনক। নব্বই-এর দশক থেকে সারা দেশ জুড়ে সর্বশিক্ষা অর্থাৎ সকলের জন্য শিক্ষার এক নৈতিক অভিযান শুরু হয়। রাজ্য বাজেটের ২৬ শতাংশ অর্থ শিক্ষাখাতে বরাদ্দ হলেও সমস্যার গভীরে এখনও উপনীত হওয়া যায়নি, ফলে কেন্দ্র, রাজ্য উভয়েই এক অভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে। বাংলার ভূ-প্রকৃতির গঠন অনুসারে বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের সমতলভূমিতে মানুষের প্রধান জীবিকাই হল কৃষি। সেই কৃষক এবং তার সহযােগী অনেক শিশু বাংলায় কৃষিকাজেই মননানিবেশ করে, ফলে গ্রামীণ সমাজব্যবস্থায় বহু কিশাের, কিশােরী বিদ্যায়তনের দ্বারপ্রান্তে উপস্থিত হতে পারেনি। সেইসব পিছি...

খেলাধুলা ও শরীরচর্চা - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Sports and Exercise | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

খেলাধুলা ও শরীরচর্চা  - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Sports and Exercise | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI খেলাধুলা ও শরীরচর্চা অথবা, আমাদের স্বাস্থ্য, আমাদের মন দুর্বল শরীর মনের বিকাশে বাধা দেয়। মানুষের মনের ইচ্ছা পূরণে সবল দেহ প্রয়ােজন। তেমন প্রয়ােজন সুস্বাস্থ্য। শরীর ও মনের উপর নির্ভর করে পড়াশুনা। শরীর সুস্থ না থাকলে বিদ্যায় মন বসবে না। প্রাচীনকালে ছেলেরা যখন গুরুগৃহে থাকত, তখন গুরুর সমস্ত কাজই তারা করত। ফুল তােলা, কাঠ সংগ্রহ করা, গােরু চরানাে, জমি চাষ করা এসব তারা করত। ফলে তপােবনের সেই পরিবেশে শারীরিক শ্রমটাও পড়াশুনার সময় হত। বর্তমানে মানুষের কাজের চাপ বেড়েছে। ছেলেদের পড়ার চাপও বেড়েছে। এখন খেলা করাটা যেন অন্যায় কর্ম। অথচ খেলােয়াড়দের সঙ্গে করি, তাদের নিয়ে হইচই করি। খেলাধুলা না করার ফলে অনেকের সঙ্গে বন্ধুত্ব করার সুযােগ থাকে না। আমরা প্রতিদিনের আনন্দ থেকে বঞ্চিত থাকি। তাছাড়া আমাদের সুস্বাস্থ্য গঠিত হয় শরীরচর্চার মাধ্যমে। তাই শরীরচর্চা ও খেলাধুলা করতেই হবে। কেননা, আমাদের স্বাস্থ্য আমাদের হাতে। খেলাধুলা ও শরীরচর্চা  - বাংলা রচনা | Bengali Essay on ...

দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞানের অবদান - বাংলা রচনা | Bengali Essay on The Contribution of science in Daily Life | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞানের অবদান - বাংলা রচনা | Bengali Essay on The Contribution of science in Daily Life | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞানের অবদান মানুষ একদিন আদিম অরণ্যচারী গুহাবাসী জীব হিসাবে পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিল। বনের অন্যান্য এর সঙ্গে তার কোনাে পার্থক্য ছিল না। তখন মানুষ না জানত আগুন জ্বালাতে, না জানত চাষ করতে, না পারত কাপড় বুনতে। উলঙ্গ আদিম মানুষের দল বনের ফলমূল আর কাঁচা মাংস খেয়ে জীবনধারণ করত। কিন্তু পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে মানুষ জ্ঞান ও বুদ্ধিবৃত্তিকে কাজে লাগিয়ে ক্রমশই সভ্যতার বিভিন্ন স্তরের মধ্য দিয়ে শেষ পর্যন্ত আধুনিক বিজ্ঞানের যুগে এসে উপস্থিত হয়েছে। বিজ্ঞানচর্চার ফলে মানুষের জীবনযাত্রা আজ নিরাপদ ও আরামপ্রদ হয়ে উঠেছে। আধুনিক যুগে আমাদের প্রতিদিনের জীবনযাত্রা বিজ্ঞাননির্ভর হয়ে উঠেছে। অসুখের জন্য চিকিৎসা, পরিধেয় বস্ত্রাদি, গৃহনির্মাণকৌশল, দ্রুত যােগাযােগের জন্য বেতার-দুরদর্শন, পরিবহণের জন্য দ্রুতগামী যানবাহন আমাদের জীবনে প্রতি মুহুর্তেই বিজ্ঞানের অগ্রগতির কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। বৈজ্ঞানিকেরা আমাদের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের দিকে তাকিয...

আমাদের দেশ ভারত - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Our Country is India | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

আমাদের দেশ ভারত - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Our Country is India | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI আমাদের দেশ ভারত ভারত আমাদের দেশ। ২৯টি রাজ্য ও ৭টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল নিয়ে বর্তমান ভারত গঠিত। আয়তনের দিক দিয়ে ভারতবর্ষ বিশাল। এর উত্তরে পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু পর্বতমালা হিমালয় প্রহরীর মতাে দাঁড়িয়ে আছে। দক্ষিণে ভারত মহাসাগর, পূর্বে বাংলাদেশ ও চিন এবং পশ্চিমে পাকিস্তান ও আরব সাগর। গঙ্গা ও ব্রম্মপুত্র প্রভৃতি নদ-নদীর জলধারা হিমালয় থেকে উৎপন্ন হয়ে উত্তর ভারতের ওপর প্রবাহিত হয়ে সাগরে পড়েছে। দাক্ষিণাত্যের মালভূমির ওপর প্রবাহিত হয়েছে কৃষ্ণা, কাবেরী, নর্মদা ও গােদাবরী। ভারতকে সেইজন্য নদীমাতৃক দেশ বলা হয়। এদেশ বিশাল হওয়ায় কোথাও শীত অত্যন্ত বেশি, কোথাও গরম প্রচণ্ড, কোথাও প্রবল বর্ষা, আবার কোথাও বৃষ্টিহীন খরা দেখা যায়। প্রকৃতির এরূপ বৈচিত্র্যের জন্য বিভিন্ন রকমের উদ্ভিদ জন্মে। ভারত খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ। হিন্দু-মুসলমান, বৌদ্ধ-খ্রিস্টান, জৈন প্রভৃতি নানা ধর্মাবলম্বী মানুষ ভারতে বাস করেন। বুদ্ধ, মহাবীর, নানক, চৈতন্য, মহাত্মা গান্ধি, রবীন্দ্রনাথ, শ্রীঅরবিন্দ,  বিবেকানন্দ, ন...