Skip to main content

Posts

Showing posts from July, 2020

কলকাতা - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Kolkata | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

কলকাতা - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Kolkata | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI কলকাতা কলকাতা মহানগরী গড়ে উঠেছে সুতানুটি, গােবিন্দপুর আর কলকাতা এই তিনটি গ্রাম নিয়ে।ইংরেজরা জমিদার সাবর্ণ চৌধুরীর কাছ থেকে ওই তিনটি গ্রাম কিনে নেয়। আর জোব চার্নক এই শহরের পরিকল্পনা প্রস্তুত করেন। একসময় এই কলকাতাই ছিল ভারতের রাজধানী। কিন্তু স্বাধীন ভারতের কলকাতা হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী ও প্রাণকেন্দ্র। কলকাতার প্রধান দর্শনীয় স্থান যাদুঘর, চিড়িয়াখানা, ভিক্টোরিয়া স্মৃতিসৌধ, বিড়লা তারামণ্ডল, পাতাল রেল, নিক্কোপার্ক প্রভৃতি। কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেছেন একালের ও সেকালের অনেক মহাপুরুষ। বাঙালির জাতীয় সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও ঐতিহ্যের প্রতীক এই মহানগরী। ১৯৮৯-৯০ সালে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কলকাতার তিনশত  বর্ষপূর্তি উৎসব পালন করা হয়। কলকাতা - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Kolkata | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI কলকাতা - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Kolkata | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI কলকাতা - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Kolkata | Bangla Paragraph Writing for

হাজী মহম্মদ মহসীন - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Haji Muhammad Mohsin | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

হাজী মহম্মদ মহসীন - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Haji Muhammad Mohsin | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI হাজী মহম্মদ মহসীন প্রকৃত নাম মহম্মদ মহসীন। মক্কা-তীর্থ দর্শন অর্থাৎ হজ করেছিলেন বলে তাঁর নামের আগে হাজীকথাটি যােগ হয়েছিল। ১৭৩২ খ্রিস্টাব্দে হুগলির জেলা শহরে তাঁর জন্ম হয়। পিতার নাম হাজী ফৈজুল্লা।  ধর্মপ্রাণ পিতার জীবনাদর্শ মহসীনের জীবনপথের পাথেয় হয়েছিল। বাল্যকালেই তাঁর লেখাপড়া শুরু হয়। লেখাপড়া শেষ করে তিনি মানব কল্যাণের ব্রতে নিজেকে উৎসর্গ করলেন। তিনি বিয়ে করে সংসারী হননি। কিন্তু পরম করুণাময় তাকে বিরাট সংসারের মালিক করেছিলেন। তাঁর বৈপিত্র বােনের কাছ থেকে দান হিসাবে পাওয়া বিশাল ধনসম্পত্তি দরিদ্র ও অসহায় মানুষের মঙ্গলের জন্য অকাতরে ব্যয় করেছিলেন। এই দানের জন্য বাংলার হিন্দু-মুসলমান তাকে দানবীর মহসীন আখ্যা দিয়েছিলেন। নিজের ব্যক্তিগত সুখের দিকে না তাকিয়ে তিনি ফকিরের মতাে দিন যাপন করতেন। তিনি নিজে শিক্ষিত ছিলেন এবং শিক্ষাবিস্তারের জন্য বিশেষ উদ্যোগী হয়েছিলেন। গরিব ছাত্রদের , জন্য তিনি বহু জায়গায় স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা স্থাপন করেছিলেন। হুগলির ইমামবাড়া ও মহসীন কল

কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Sarat Chandra Chattopadhyay | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Sarat Chandra Chattopadhyay | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র বাংলা সাহিত্যের একজন দরদি কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র। মানুষের মুখের ভাষা নিয়ে সরল অথচ প্রাণবন্তসাহিত্য তাঁর আগে কেউ সৃষ্টি করেননি। মহেশ’, ‘অভাগীর স্বর্গ’ তাঁর সাড়াজাগানাে গল্প এবং ‘বড়দিদি’‘দত্তা’, ‘পল্লীসমাজ’, ‘গৃহদাহ’, ‘দেবদাস’ প্রভৃতি তাঁর উপন্যাস। ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে হুগলি জেলার দেবানন্দপুরে শরৎচন্দ্রের জন্ম হয়। বাবা ক্ষুদিরাম  চট্টোপাধ্যায়ের আর্থিক অবস্থা ভালাে ছিল না। তাই ভাগলপুরেমামাবাড়িতে থেকে তিনি পড়াশােনা করতেন। তিনি এফ. এ. পড়ছিলেন। কিন্তু পয়সার অভাবে আর পড়াশােনা চালাতে পারেননি। জীবনধারণের জন্য তিনি সুদূর রেঙ্গুনে কেরানির চাকরি নিয়ে চলে যান। ভাগলপুরেই শরৎচন্দ্রের সাহিত্যচর্চার হাতেখড়ি। রেঙ্গুনে বসে তিনি নিরলসভাবে  সাহিত্যচর্চায় মন দিয়েছিলেন। জাত-পাতকে কেন্দ্র করে সমাজের ভালাে-মন্দ দিকগুলােকে তিনি তার সাহিত্যে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। নারীচরিত্রের এমন সহানুভূতিশীল স্রষ্টা বাংলা সাহিত্যে দ্বিতীয় নেই। জনপ্রিয়তায় শরৎচন্দ্র ছিল

পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Pandit Iswar Chandra Vidyasagar | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Pandit Iswar Chandra Vidyasagar | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ভূমিকা : ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের আসল নাম ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি শুধু বিদ্যারই সাগর ছিলেন না, ছিলেন—করুণাসাগর, দয়ার সাগর। জন্ম ও বংশ পরিচয় : মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে ১৮২০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ সেপ্টেম্বর ঈশ্বরচন্দ্রের জন্ম হয়। তাঁর পিতার নাম ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। মাতার নাম ভগবতী দেবী। শিক্ষা : পাঁচ বছর বয়সে গ্রামের পাঠশালায় ভরতি হন। সেখানে পড়াশােনা শেষ করে সাড়ে আট বৎসর বয়সে বাবার সঙ্গে কলকাতায় চলে আসেন এবং কলকাতার সংস্কৃত কলেজে  ভরতি হন। ছােটোবেলা থেকেই তিনি খুব মেধাবী ছিলেন। পিতার আর্থিক অবস্থা ভালাে না থাকার দরুন তাঁকে  ছােটোবেলায় খুব কষ্ট করে লেখাপড়া শিখতে হয়েছিল। তাঁকে রান্না করে খেতে হত এবং রাস্তার আলােতেই পড়তে হত। এভাবে কষ্ট করে তিনি বিদ্যালাভ করেন। সংস্কৃত কলেজ থেকেই তিনি 'বিদ্যাসাগর’ উপাধি লাভ করেন। কর্মজীবন : লেখাপড়া শেষ করে তিনি চাকরিতে যােগ দেন। তিনি সংস্কৃত কলেজের অধ্যাপক

বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Kazi Nazrul Islam | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Kazi Nazrul Islam | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম বর্ধমান জেলার আসানসােলের নিকট চুরুলিয়া গ্রামে ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে কাজী নজরুল ইসলামের জন্যহয়। তাঁর বাবা ছিলেন অত্যন্ত গরিব। ছােটোবেলায় তাঁকে সকলে ‘দুখু মিঞা' বলে ডাকত। বাবা মারা যাওয়ার পর তাঁকে এলােমেলােভাবে কঠোর দারিদ্র্যের মধ্যে জীবন কাটাতে হয়েছে। কখনও ‘লেটো' গানের দলে, কখনও মাংসের দোকানে তাঁকে চাকরি করতে হয়েছে। এরই মধ্যে কিছুদিন সিয়ারসােল উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষা লাভ। সতেরাে বছর বয়সে নজরুল সেনাবাহিনীতে যােগ দেন। তখন থেকেই তাঁর কবিতা লেখা শুরু। সেনাবাহিনী থেকে ফিরে এসে কাব্যচর্চায় পুরােপুরি মন দেন। নজরুল ইসলাম ছিলেন সুন্দরের পূজারি, আবার বিদ্রোহী কবি। তাঁর রচিত ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি দিয়ে তিনি বাংলা সাহিত্যে স্থান করে নেন। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘অগ্নিবীণা। অসহায়, বঞ্চিত, সর্বহারা মানুষেরা তাঁর কবিতায় স্থান পেয়েছে। সমাজের অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে তাঁর বিদ্রোহ প্রকাশ পেল অগ্নিবীণা, সর্বহারা, বিষের বাঁশী, ফণিমনসা প্রভৃত

ক্ষুদিরাম - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Khudiram Bose | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

ক্ষুদিরাম - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Khudiram Bose | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI ক্ষুদিরাম দেশের জন্য ক্ষুদিরাম প্রাণ দিয়েছেন। মাত্র উনিশ বছর বয়সে ক্ষুদিরামের ফাসি হয়। মারা যাওয়ারপর বাংলার বাউল বৈরাগীরাও এই শহিদের জন্য চোখের জল ফেলেছেন। তাদের কণ্ঠের গান আমরা সবাই জানি— ‘হাতে যদি থাকত মা ছােরা তাের ক্ষুদি কি পড়ত ধরা?' ক্ষুদিরামের ধরা পড়ার কষ্ট আমরা প্রতিটি বাঙালি আজও অনুভব করি।মেদিনীপুর জেলার মউবনী গ্রামে ক্ষুদিরামের জন্ম।ছেলেবেলায় তিনি বাবা মাকে হারান। বড়াে বােনের কাছে মায়ের আদরে তিনি মানুষ হন। স্কুলে পড়ার সময়ই তিনি মেদিনীপুরের বিপ্লবী দলে যােগ দেন। তিনি নিয়মিত ব্যায়াম ও খেলাধুলা করতেন। ক্লাসের বই ছেড়ে তিনি  দেশ বিদেশের মনীষী ও যােদ্ধাদের জীবনকথা পড়তেন, নিয়মিত গীতা পাঠ করতেন। স্বামী বিবেকানন্দ ছিলেন ক্ষুদিরামের আদর্শ মানুষ। মানুষের রােগে, শােকে, বিপদে-আপদে ক্ষুদিরাম উৎসাহ নিয়ে এগিয়ে যেতেন। ইংরেজ বিচারক কিংস ফোর্ডের অত্যাচার বাংলার বিপ্লবীদের মনে আগুন জ্বালিয়েছিল। ' তাঁকে হত্যার জন্য ক্ষুদিরাম ও প্রফুল্ল চাকিকে বিহারের মজফফরপুরে পাঠানাে হয

স্বাধীনতা দিবস - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Independence Day | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

স্বাধীনতা দিবস - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Independence Day | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI স্বাধীনতা দিবস আমাদের দেশ আজ স্বাধীন। ১৫ আগস্ট ১৯৪৭ সালে আমরা এই স্বাধীনতা লাভ করেছি। এর আগে প্রায় দুশাে বছর আমাদের দেশ বিদেশি শক্তির পরাধীন ছিল। আজ আমরা যে স্বাধীনতা লাভ করেছি তার পিছনে আছে বহু শহিদের জীবন দানের ইতিহাস। তাই যাঁরা দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন তাঁদের অমর আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা এই স্বাধীনতা দিবসে নিবেদন করি। স্বাধীন ভারতে এই দিনটি অত্যন্ত আড়ম্বরের সঙ্গে উদ্যাপিত হয়। প্রত্যেক জাতির কাছেই তাদের স্বাধীনতা দিবস খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের কাছেও ১৫ আগস্ট অতি পবিত্র দিন। আমাদের প্রতিজ্ঞা—জীবন দিয়ে আমরা দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করব। স্বাধীনতা দিবস - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Independence Day | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI স্বাধীনতা দিবস - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Independence Day | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI স্বাধীনতা দিবস - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Independence Day | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

সত্যজিং রায় - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Satyajit Ray | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

সত্যজিং রায় - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Satyajit Ray | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI সত্যজিং রায়  ভূমিকা : সত্যজিৎ রায় বাংলা তথা সারা ভারতবর্ষের একজন প্রবাদপুরুষ। চলচ্চিত্র সাহিত্য ও শিল্পের ক্ষেত্রে তাঁর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য । তাঁর পরিচালিত বিভিন্ন বাংলা চলচ্চিত্র সারা বিশ্বে প্রদর্শিত ও পুরস্কৃত হয়ছে। জন্ম ও বংশ পরিচয় : সত্যজিৎ রায় ২ মে ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে উত্তর কলকাতার বিখ্যাত রায়চৌধুরি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম ছিল সুকুমার রায় ও মাতার নাম ছিল সুপ্রভা রায়। তাঁরর পিতামহের নাম ছিল উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরি। ছেলেবেলা ও শিক্ষা : দু-বছর বয়সে তাঁর পিতা মারা যাওয়ায় সুপ্রভা দেবী দক্ষিণ কলকাতায় তাঁর দাদা প্রশান্তবাবুর কাছে চলে আসেন। সেখানে সত্যজিৎ প্রথম বালিগঞ্জ রাষ্ট্রীয় হাইস্কুলে ভরতি হন। স্কুলের গণ্ডি শেষ করে তিনি বিএ পাশ করেন। কর্মজীবন : ১৯৪৩ খ্রিঃ থেকে ১৯৫৩ খ্রিঃ পর্যন্ত তিনি একটি বিজ্ঞাপন সংস্থায় কাজ করেন। কিশোর বয়স থেকে তিনি চলচ্চিত্রের প্রতি বিশেষ আকর্ষণ বোধ করতেন। তিনি পরবর্তীকালে অসংখ্য বাংলা চলচ্চিত্রের সার্থক পরিচালনা করেন। “মহা

কিশাের কবি সুকান্ত - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Poet Sukanta Bhattacharya | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

কিশাের কবি সুকান্ত - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Poet Sukanta Bhattacharya | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI কিশাের কবি সুকান্ত সুকান্ত আজ সবার প্রিয় কবি। মাত্র ২১ বছর বয়সে তিনি মারা যান। বয়সে তরুণ হলেও তার কবিতা যে-কোনাে নামি কবির কবিতার পাশে স্থান করে নিতে পারে। সমাজে প্রতিটি মানুষের সমান অধিকার থাকবে; মালিক-শ্রমিক, ধনী-গরিবের বিভেদ থাকবে না—এই ছিল সুকান্তের স্বপ্ন। এই স্বপ্নকে সফল করার জন্য তিনি কবিতা লিখেছেন। সুকান্তের কবিতা মানুষের মনে আগুন ধরিয়ে দেয়। যেমন তার শব্দ, তেমন ছন্দ, তেমন ভাব। সুকান্তকে তাই বিদ্রোহী কবি বলা হয়। অল্পদিন বেঁচে থাকার মধ্যেই তিনি শ্রমিক-কৃষকের পাশে দাঁড়িয়ে মিছিল করেছেন, আন্দোলন করেছেন। ছাড়পত্র,  ‘ঘুম নেই’, ‘মিঠেকড়া’ প্রভৃতি তার বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ। ১৩৩৩ সালের শ্রাবণ মাসে কলকাতায় সুকান্তের জন্ম। পিতা নিবারণ ভট্টাচার্য, মা সুনীতি দেবী। অল্প বয়সে সুকান্ত মাকে হারান। পারিবারিক জীবনে আসে নানা বিপর্যয়, অভাব-অনটন। তিনি যক্ষ্মারােগে আক্রান্ত হয়ে ১৯৫৪ সালের ২৯ বৈশাখ হাসপাতালে মারা যান। দুঃখ এই, সুকান্ত তার কোনাে বইকে ছাপার অক্ষরে দেখে যেতে

বীর সন্ন্যাসী স্বামী বিবেকানন্দ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Swami Vivekananda | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

বীর সন্ন্যাসী স্বামী বিবেকানন্দ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Swami Vivekananda | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI বীর সন্ন্যাসী স্বামী বিবেকানন্দ ভূমিকা : ভারতীয় ধর্ম ও আদর্শকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেছিলেন বিশ্বজয়ী স্বামী বিবেকানন্দ। তাঁর নেতৃত্বে সন্ন্যাসীরা মানুষের সেবায় জীবন উৎসর্গ করার ব্রত গ্রহণ করেন। বিবেকানন্দের আসল নাম নরেন্দ্রনাথ দত্ত।  জন্ম ও বংশ : কলকাতার সিমলা অঞ্চলে তার জন্ম হয়েছিল ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দের ১২ জানুয়ারি। তার বাবার নাম বিশ্বনাথ দত্ত, মায়ের নাম ভুবনেশ্বরী দেবী। ছেলেবেলায় তিনি ছিলেন ভীষণ দুরন্ত, নির্ভীক ও মেধাবী। বাল্যজীবন ও শিক্ষা : তিনি ছেলেবেলা থেকেই সাহসী ও ধার্মিক ছিলেন। আর ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী ও মনােযােগী ছাত্র। বিএ পাশ করার পর তাকে নানা আর্থিক অনটনে ভুগতে হয়। একসময় শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণদেবের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ক্রমে তিনিরামকৃষ্ণদেবের প্রতি বিশেষ আকর্ষণ অনুভব করেন। দক্ষিণেশ্বরে ঘন ঘন যাতায়াত শুরু হয় তাঁর। অবশেষে তিনি শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন তাঁর। কর্মজীবন ও আদর্শ : সন্ন্যাসগ্রহণের পর তাঁর নাম হয় স্বামী বিবেকানন্দ এবং শ্রীরামকৃষ্ণদেবের তি

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Netaji Subhas Chandra Bose | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Netaji Subhas Chandra Bose | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ভূমিকা : ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতাজি সুভাষচন্দ্রের অবদান অপরিসীম।এদেশের মানুষ তাঁকে আজও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। জন্ম ও বংশ পরিচয় : সুভাষচন্দ্র বসু ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দের ২৩ জানুয়ারি ওড়িশার কটক শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম জানকীনাথ বসু ও মাতার নাম প্রভাবতী দেবী। সুভাষচন্দ্রের পিতা কটক শহরে ওকালতি করতেন। তাদের আদি বাড়ি ছিল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কোদালিয়া গ্রামে। ছাত্রজীবন : মেধাবী ছাত্র কটকের 'রাভেনশ'  কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাশ করেন। এই পরীক্ষায় তিনি দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে বিএ পাশ করার পর বিলেতে গিয়ে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় চতুর্থ স্থান অধিকার করেন। কর্মজীবন : সুভাষচন্দ্র সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় পাশ করে দেশে ফিরে আসেন, কিন্তু ইংরেজ সরকারের অধীনে চাকরি গ্রহণ করলেন না। বরং ইংরেজদের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করবার জন্যে স্বাধীনতা আন্দোলনে যােগ দিলেন। অল্পদিনের মধ্যে সুভাষচন্দ্

অমর্ত্য সেন - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Amartya Sen | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

অমর্ত্য সেন - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Amartya Sen | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI অমর্ত্য সেন ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দের ৩ নভেম্বর বীরভূম জেলার শান্তিনিকেতনে অমর্ত্য সেন জন্মগ্রহণ করেন I তাঁর বাবার নাম আশুতোষ সেন এবং মায়ের নাম অমিতা সেন I বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ‘অমর্ত্য’ নামকরণটি করেন ৷ ছেলেবেলার পড়াশোনা শান্তিনিকেতনে । পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি পাশ করার পর কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যলয়ে ভরতি হন ৷ সেখানে ডিএসসি ডিগ্রি লাভ করে দেশে ফিরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা শুরু করেন I তারপর বিশ্ববিদ্যালয় এবং পরে ট্রিনিটি কলেজের অধ্যাপক হন I বিশ্বজনকল্যানে অর্থনীতির প্রয়োগ বিষয়ে গবেষণা পত্রের জন্য ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দের ১০ ডিসেম্বর তাঁকে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয় ৷ এই পুরস্কারের অর্থ তিনি দেশের শিশুশিক্ষা উন্নয়নে দান করেন ৷ অমর্তা সেন ভারত এবং বাংলার গর্ব৷ অমর্ত্য সেন - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Amartya Sen | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI অমর্ত্য সেন - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Amartya Sen | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI অমর্ত্য সেন -

মাদার টেরিজা - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Mother Teresa | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

মাদার টেরিজা - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Mother Teresa | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI মাদার টে রি জা ১৯১০ খ্রিস্টাব্দের ২৭ আগস্ট যুগােশ্লাভিয়ার স্কোপেজ শহরে এক কৃষক পরিবারে মাদার টেরিজার জন্ম হয় ৷ গৃহজীবনে তাঁর নাম ছিল অ্যগনেস গোনেকস বেজাক্সি হিউ ৷ মানব সেবার আদর্শে সন্ন্যাসিনীর জীবন বেছে নিয়ে মাত্র ১৯ বছর বয়সে তিনি ডাবলিন থেকে কলকাতায়  আসেন I সেবিকার ব্রত গ্রহণ করে হয়ে ওঠেন বিশ্বজননী I কলকাতায় প্রতিষ্ঠা করেন ‘নির্মল হৃদয় ’ এবং ‘শিশুভবন ।’ ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি ভারতের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন ৷ ভারত সরকার ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে তাকে ‘পদ্মশ্ৰী’ উপাধিতে ভূষিত করেন I ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি নোবেল পুরস্কার পান I ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দে তাঁকে ভারতের সর্বোচ্চ সম্মান ‘ভারতরত্ন’ উপাধিতে ভূষিত করা হয় । ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দের ৫সেপ্টেম্বর ৮৭ বছর বয়সে তিনি পরলােকগমন করেন ৷ কিন্তু তাঁর প্রতিষ্ঠিত ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’ আজও সেবার ভাবধারা নিয়ে এগিয়ে চলেছে । মাদার টেরিজা - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Mother Teresa | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI মাদার টেরিজা - বাংলা রচনা |

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Rabindra Nath Tagore | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Rabindra Nath Tagore | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভূমিকা : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বলা হয় বিশ্বকবি। তাঁর রচিত সাহিত্য সমগ্র বিশ্বের এক অমূল্য সম্পদ। বিশ্বকবি ছিলেন সর্বব্যাপী প্রতিভার অধিকারী। জন্ম ও বংশ পরিচয় : কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে রবীন্দ্রনাথের জন্মহয় ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দের ৭ মে। তার বাবার নাম মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও মায়ের নাম সারদা দেবী। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ সুলেখক ছিলেন। দাদা জ্যোতিরিন্দ্রনাথের কাছে শৈশবে রবীন্দ্রনাথ কবিতা রচনায় উৎসাহ পেয়েছিলেন। ছাত্রজীবন : বাল্যকালে রবীন্দ্রনাথ ওরিয়েন্টাল সেমিনারি ওনর্মাল স্কুলে কিছুদিন লেখাপড়া করেছিলেন। স্কুলের পরিবেশ তার ভালাে না লাগায় স্কুল ছেড়ে দিয়ে বাড়িতে মন দিয়ে লেখাপড়া করতে থাকেন। উচ্চশিক্ষার জন্যে তাঁকে বিলেতেও পাঠানাে হয়েছিল, কিন্তু সেখানেও তাঁর মন টেকেনি। তিনি দেশে ফিরে এসে কবিতা, গল্প, গান, নাটক লেখা শুরু করেন।সাহিত্যচর্চা ও কর্মজীবন : রবীন্দ্রনাথ অজস্র গান, কবিতা, লিখেছেন। লিখেছেন,অনেকগুলি নাটক, উপন্যাস ও গল্প। ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে