জাতিভেদ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Casteism | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI জাতিভেদ সমাজকে নানা শ্রেণিতে বিভক্ত করে বিভিন্ন প্রকার মর্যাদা ও সুযােগসুবিধা দেওয়াই জাতিভেদের মূল কথা। ভারতে হিন্দু সমাজে জাতিভেদ যেমন উৎকটরূপে দেখা যায়, তেমন বােধ হয় আর কোনাে দেশে নয়। এদেশে হিন্দুদের মধ্যে জাতিভেদের মূল ভিত্তি বােঝাবার জন্য শ্রীকৃষ্ণের একটি উক্তি প্রায়ই উদ্ধৃত করা হয়- চাতুর্বণ্য ময়া সৃষ্টং গুণকর্মবিভাগশঃ।অর্থাৎ গুণ এবং কর্মের বিভাগ অনুসারেই আমার দ্বারা চার বর্ণ (ব্রাহ্মণ, ক্ষয়িত্র, বৈশ্য, শূদ্র) সৃষ্ট হয়েছে। শ্রীকৃষ্ণই এমন করেছিলেন কিনা, অথবা শ্রীকৃষ্ণ ঠিক কোন্ যুগে এটি করেছিলেন, এইসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া কঠিন। কিন্তু এটা ঠিক যে, প্রায় দু-হাজার বছর যাবৎ যে বৈদিক সভ্যতা বিরাজ করেছিল, তার এক প্রধান অংশে হিন্দুরা ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র—প্রধানত এই চার বর্ণে বিভক্ত ছিল। ব্রাহ্মণ পৌরােহিত্য, সমাজবিধান পরিচালনা ইত্যাদি করতেন। ক্ষত্রিয়ের প্রধান কাজ ছিল যুদ্ধ ও দেশরক্ষা। বৈশ্যগণ ব্যাবসাবাণিজ্য করতেন। শূদ্রদের কাজ ছিল অন্য তিন বর্ণের সেবা করা। এইভাবে প