Skip to main content

জাতিভেদ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Casteism | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

জাতিভেদ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Casteism | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI
 জাতিভেদ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Casteism | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

 

জাতিভেদ


সমাজকে নানা শ্রেণিতে বিভক্ত করে বিভিন্ন প্রকার মর্যাদা ও সুযােগসুবিধা দেওয়াই জাতিভেদের মূল কথা। ভারতে হিন্দু সমাজে জাতিভেদ যেমন উৎকটরূপে দেখা যায়, তেমন বােধ হয় আর কোনাে দেশে নয়। এদেশে হিন্দুদের মধ্যে জাতিভেদের মূল ভিত্তি বােঝাবার জন্য শ্রীকৃষ্ণের একটি উক্তি প্রায়ই উদ্ধৃত করা হয়- চাতুর্বণ্য ময়া সৃষ্টং গুণকর্মবিভাগশঃ।অর্থাৎ গুণ এবং কর্মের বিভাগ অনুসারেই আমার দ্বারা চার বর্ণ (ব্রাহ্মণ, ক্ষয়িত্র, বৈশ্য, শূদ্র) সৃষ্ট হয়েছে। শ্রীকৃষ্ণই এমন করেছিলেন কিনা, অথবা শ্রীকৃষ্ণ ঠিক কোন্ যুগে এটি করেছিলেন, এইসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া কঠিন। কিন্তু এটা ঠিক যে, প্রায় দু-হাজার বছর যাবৎ যে বৈদিক সভ্যতা বিরাজ করেছিল, তার এক প্রধান অংশে হিন্দুরা ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র—প্রধানত এই চার বর্ণে বিভক্ত ছিল। ব্রাহ্মণ পৌরােহিত্য, সমাজবিধান পরিচালনা ইত্যাদি করতেন। ক্ষত্রিয়ের প্রধান কাজ ছিল যুদ্ধ ও দেশরক্ষা। বৈশ্যগণ ব্যাবসাবাণিজ্য করতেন। শূদ্রদের কাজ ছিল অন্য তিন বর্ণের সেবা করা। এইভাবে প্রাচীন ভারতেই জাতিভেদ প্রথা বিস্তৃত হয়ে পড়ে। সেকালে এর কতদূর প্রয়ােজন ছিল তা সঠিক বােঝা যায় না। কিন্তু এই বর্ণবিভাগকে অনুসরণ করে ভারতে জাতিভেদ এক ভয়ানক অবস্থায় এসে দাড়িয়েছে। এর ফলে সমগ্র ভারতের উন্নতি ও সমৃদ্ধি ব্যাহত হয়েছে এবং হচ্ছে। এদেশের এক-চতুর্থাংশ মানুষ অস্পৃশ্য, অর্থাৎ উচ্চতর বর্ণের মানুষেরা তাদের স্পর্শ করে না। এইসকল মানুষ অতি দরিদ্র, অবনত ও লাঞ্ছিত। মহাত্মা গান্ধি এদের 'হরিজন' বলে সম্মান দিয়েছেন, এঁদের সম্মান রক্ষার জন্য কিছু আইনও আছে, কিন্তু তাতেও অবস্থার বিশেষ পরিবর্তন হয় নি।  ফলে জীবনের কোনাে ক্ষেত্রেই ভারতীয়রা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে পারে না। বিবাদ যেমন বিবাদকে বাড়িয়ে চলে, জাতিভেদও তেমনই অন্যান্য ভেদকে বাড়িয়ে চলেছে। আজ এই দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মানুষ পরস্পরকে আপন ভাবে না, দরিদ্রের প্রতি ধনীদের সহানুভূতি নেই। জোতদার ও কৃষকের মধ্যে, মালিক ও শ্রমিকের মধ্যে বিভেদ যেন বেড়েই চলেছে। মুসলমানদের মধ্যে হিন্দুদের মতাে বর্ণভেদ নাই, তবে বিভিন্ন সম্প্রদায়ভেদ আছে। মুসলমানদের মধ্যে শিয়া ও সুন্নি সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক যে বিদ্বেষ আছে, তা প্রায়ই রক্তাক্ত সংঘর্ষের সৃষ্টি করে।
জাতিভেদের এই ভয়াবহতার প্রতি বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রচণ্ড বিদ্রুপ বর্ষিত হয়েছে তার কবিতায় -
 'জাতের নামে বজ্জাতি সব।
জাত-জালিয়াতি খেলছে জুয়া।'
সত্যই, সুবিধাভােগী কিছু মানুষই নিজেদের স্বার্থে জাতিভেদ বাঁচিয়ে রেখেছে। মানবসমাজের মঙ্গল চাইলে জাতির নামে এই জুয়াখেলা বন্ধ করতে হবে। এক বিশ্বপিতার সন্তান রূপে, একই ধরিত্রীর লালিত মানুষ রূপে একে অপরকে ভালবাসতে হবে, পরস্পরকে মর্যাদা দিতে হবে। সেই পথেই মানুষের মুক্তি।


জাতিভেদ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Casteism | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI
 জাতিভেদ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Casteism | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

জাতিভেদ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Casteism | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI
 জাতিভেদ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Casteism | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

জাতিভেদ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Casteism | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI
 জাতিভেদ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Casteism | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI


Popular posts from this blog

ভারতে নদীর গুরুত্ব - বাংলা রচনা | Bengali Essay on The Importance of Rivers in India | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

ভারতে নদীর গুরুত্ব - বাংলা রচনা | Bengali Essay on The Importance of Rivers in India | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI ভারতে নদীর গুরুত্ব উচ্চ পর্বত বা উচ্চভূমি থেকে নির্গত হয়ে নদী যখন সুদীর্ঘ অঞ্চলের মধ্য দিয়ে সাগরের দিকে প্রবাহিত হয়, তখন তা অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সৃষ্টি করে। কিন্তু শুধু প্রাকৃতিক শােভা সৃষ্টি করাই নদীর কাজ নয়। মানবসভ্যতায় নদীর অন্যান্য গুরুত্ব অসীম। বিশেষত সুপ্রাচীনকাল থেকেই ভারতীয় সভ্যতায় নদীর গুরুত্ব অপরিসীম। ভারতের সর্বাপেক্ষা প্রাচীন সভ্যতা সিন্ধু সভ্যতা সিন্ধু নদীর উপত্যকায় গড়ে উঠেছিল। বৈদিক সভ্যতার কালেও নদীর তীরেই অধিকাংশ রাজধানী ও নগর স্থাপিত হয়েছিল। দৃষ্টান্তস্বরূপ গঙ্গানদীর তীরে অবস্থিত কাশী, পাটলিপুত্র ইত্যাদি নগরের নাম উল্লেখ করা যায়। এছাড়া নদীগুলি যাতায়াতের এবং মালপত্র পরিবহনের প্রধান উপায় ছিল। দক্ষিণ ভারতের নদীগুলিতে বছরের সবসময় পর্যাপ্ত জল থাকে না এবং আরও নানা কারণে এগুলি সারাবছর পরিবহনের উপযুক্ত থাকে না। কিন্তু উত্তর ভারতের গঙ্গা, ব্ৰত্মপুত্র এবং অন্যান্য বহু নদীতে সারাবছর প্রচুর জল থাকে বলে পরিবহন, জলসেচ ইত্যাদি কাজে এগু...

গ্রামের হাট - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Village Market | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

গ্রামের হাট - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Village Market | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI গ্রামের হাট গ্রামে বেচাকেনার মাধ্যম হল হাট। কতগুলাে গ্রামকে কেন্দ্র করে হাট গড়ে ওঠে। সেই হাটেই গ্রামের মানুষেরা তাদের প্রয়ােজনীয় জিনিস ক্রয়-বিক্রয় করে। কোথাও নদীর ধারে, রাস্তার পাশে আবার কোথাও বা গাছের নীচে হাট বসতে দেখা যায়। আশেপাশের বেশকিছু গ্রামের সঙ্গে হাটের যােগাযােগ থাকে। বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ গ্রামের হাটে জিনিসপত্র বিক্রি করতে আসে। গােরুর গাড়ি অথবা ভ্যান ও রিক্সা করে হাটে জিনিসপত্র আনা হয়। এ গ্রামে সন্ধে পর্যন্ত মানুষের আনাগােনা চলে ।এই হাটে। এক কথায় হাট হল মানুষের মিলনক্ষেত্র। বিভিন্ন আত্মীয়-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব এদের সাথে যােগাযােগ রক্ষা করে হাট। মানুষের সাথে মানুষের সুখ-দুঃখের আদান প্রদান ঘটে এই হাটে। গ্রামের হাট - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Village Market | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI গ্রামের হাট - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Village Market | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI গ্রামের হাট - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Village Ma...

স্বাধীনতা দিবস - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Independence Day | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

স্বাধীনতা দিবস - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Independence Day | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI স্বাধীনতা দিবস আমাদের দেশ আজ স্বাধীন। ১৫ আগস্ট ১৯৪৭ সালে আমরা এই স্বাধীনতা লাভ করেছি। এর আগে প্রায় দুশাে বছর আমাদের দেশ বিদেশি শক্তির পরাধীন ছিল। আজ আমরা যে স্বাধীনতা লাভ করেছি তার পিছনে আছে বহু শহিদের জীবন দানের ইতিহাস। তাই যাঁরা দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন তাঁদের অমর আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা এই স্বাধীনতা দিবসে নিবেদন করি। স্বাধীন ভারতে এই দিনটি অত্যন্ত আড়ম্বরের সঙ্গে উদ্যাপিত হয়। প্রত্যেক জাতির কাছেই তাদের স্বাধীনতা দিবস খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের কাছেও ১৫ আগস্ট অতি পবিত্র দিন। আমাদের প্রতিজ্ঞা—জীবন দিয়ে আমরা দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করব। স্বাধীনতা দিবস - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Independence Day | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI স্বাধীনতা দিবস - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Independence Day | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI স্বাধীনতা দিবস - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Independence Day | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

দেশগঠনে ছাত্রসমাজ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Student Society in The Formation of The Country | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

দেশগঠনে ছাত্রসমাজ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Student Society in The Formation of The Country | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI  দেশগঠনে ছাত্রসমাজ জওহরলাল নেহরু বলেছিলেন, ইংরেজরা আমাদেরকে যে স্বাধীনতা দিয়েছে তা এক বিধ্বস্ত ভস্মীভূত প্রাচীন প্রাসাদকে পুনর্গঠিত করবার স্বাধীনতা।মহান ঐতিহ্যসম্পন্ন এই সুবিশাল দেশ ইংরেজ শাসনের যুগে ক্রমাগত অত্যাচারিত ও শােষিত হওয়ার ফলে এক অস্থিচর্মসার ম্রিয়মানা রােগিণীর অবস্থা লাভ করেছে। এই ম্রিয়মাণা রােগীকে পুনরায় সুস্বাস্থ্যের অধিকারিণী করে স্বমর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। কিন্তু কে তা করবে? দেশগঠনের কাজে তাই এগিয়ে আসতে হবে বর্তমানের তরুণসমাজকে, বর্তমানের ছাত্রসমাজকে। তারই জন্য পূর্বপ্রস্তুতি প্রয়ােজন। অভিভাবকেরা কোনােমতে যখন বর্তমানে তাদের মুখে দু-মুঠো অন্ন তুলে দিতে পারছেন, তখন এটাই ভবিষ্যৎ প্রস্তুতির অবসর।এই প্রস্তুতির জন্য প্রথমেই প্রয়ােজন কিছু গঠনমূলক কাজের অভ্যাস। দেশ বলতে দেশের ভৌগােলিক রূপ যেমন বােঝায়, তেমন দেশের মানবসমাজও বােঝায়। এই দুই উপাদানের কথা মনে রেখেই কাজ শুরু করতে হবে। ঘর এবং ঘরের বাইর পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। প...

আমাদের বিদ্যালয় - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Our School | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

আমাদের বিদ্যালয় - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Our School | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI আমাদের বিদ্যালয় আমাদের বিদ্যালয়ের নাম শালবাগান অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় ৷ বিদ্যালয়টি  উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসাতে অবস্থিত I বিদ্যালয়ের দেয়ালগুলি ইটের, তবে ছাউনি টালির। বিদ্যালয়ের পাঁচটি ঘরে বেঞ্চি, চেয়ার, টেবিল ও ব্ল্যাকবোর্ড আছে ৷ আমাদরে বিদ্যালয়ে প্রায় ১৬০ জন ছাত্রছাত্রী এবং ছয়জন শিক্ষক শিক্ষিকা আছেন । আমাদের বিদ্যালয়ে  প্রতি বছর সরস্বতী পুজাে , স্বাধীনতা দিবস , প্রজাতন্ত্র দিবস ও বিভিন্ন মহাপুরুষের জন্মদিবস পালন করা হয় । আমাদের এই বিদ্যালয়টিকে আমার খুব ভালো লাগে । আমাদের বিদ্যালয় - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Our School | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI আমাদের বিদ্যালয় - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Our School | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI আমাদের বিদ্যালয় - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Our School | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

দেশপ্রেম - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Patriotism | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

দেশপ্রেম - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Patriotism | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI দেশপ্রেম স্বদেশ ও স্বজাতির প্রতি প্রীতিবােধ, স্বদেশের গৌরবে গৌরববােধ ও অধঃপতনে গ্লানিবােধ দেশপ্রেমের সাধারণ লক্ষণ। ইতিহাসের পাতা উল্টোলেই বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন জাতির স্বদেশপ্রেমের কথা আমরা জানতে পারি। ভারতবাসীরা যখন দীর্ঘ দু’শ বছর ধরে ইংরেজ জাতির কাছে পদানত ছিল তখনই ভারতবাসী দেশপ্রেমের মন্ত্রে দীক্ষা লাভ করে। ঊনবিংশ শতাব্দীতে ইংরেজরা যখন নিজ প্রয়ােজনে নিজ উদ্যোগে বিদ্যালয় গড়ে তুললেন, তখন দেশের মুষ্টিমেয় মধ্যবিত্ত মানুষের মনে পাশ্চাত্য শিক্ষার আলােকে নববােধের ও দেশপ্রেমের উন্মেষ ঘটল। অতীত ভারতের গৌরবময় শৌর্যবীর্যের ইতিহাস, ইউরােপীয় জাতিগুলির দেশপ্রীতির ইতিহাস, ফরাসি বিপ্লব, আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধ, ইংল্যাণ্ডের গৌরবময় বিপ্লব ও ইটালি-জার্মানির ঐক্যসাধনের ইতিহাস। দেশবাসীকে দেশপ্রেমের জোয়ারে ভাসিয়ে নিয়ে গেল। এরই কর্মসূচী হিসাবে সমাজসংস্কারকেরা সমাজকে কুসংস্কার থেকে মুক্ত করতে এগিয়ে এলেন—করলেন স্ত্রীশিক্ষা প্রবর্তন, সতীদাহ প্রথা নিবারণ, বাল্যবিবাহ রােধ প্রভৃতি সামাজিক সংস্কার। এর পরব...

শৃগালের ধূর্ততা - বাংলা রচনা | Bengali Essay on The Cunning of The Jackal | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

শৃগালের ধূর্ততা - বাংলা রচনা | Bengali Essay on The Cunning of The Jackal | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI  শৃগালের ধূর্ততা শৃগাল স্বভাবতই চতুর। অন্যান্য প্রাণীদের তুলনায় এদের চতুরতা সর্বাধিক। নিজ স্বার্থ সম্বন্ধে সে সর্বদাই সজাগ। চিরদিনই পরকে ঠকিয়ে নিজের স্বার্থসিদ্ধি করে নিতে বিশেষ পটু। এ বিষয়ে বহু গল্প প্রচলিত আছে। শৃগালের ধূর্ততার জন্যই বােধ হয় গল্পে শেয়াল পণ্ডিতরূপে তাকে ব্যঙ্গ করা হয়েছে। ধূর্ততা প্রসঙ্গে শৃগালের দলবদ্ধতা গুণটিরও উল্লেখ করা প্রয়ােজন। এরা সকলে একসঙ্গে বাস করতে ভালােবাসে। রাত্রিকালে শৃগাল যখন আহারের সন্ধানে বের হয় তখন যে কোনাে একজন বিপদে পড়লে সকলে মিলে বুদ্ধি খাটিয়ে তাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করতে চেষ্টা করে। কাক চতুর সন্দেহ নেই, কিন্তু শৃগালের ধূর্ততার কাছে কাকও বােধ হয় পরাজিত হয়। শৃগালের ধূর্ততা - বাংলা রচনা | Bengali Essay on The Cunning of The Jackal | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI  শৃগালের ধূর্ততা - বাংলা রচনা | Bengali Essay on The Cunning of The Jackal | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI  শৃগালের ধূর্ত...

ফুটবল - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Football | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

ফুটবল - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Football | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI ফুটবল পৃথিবীর বেশির ভাগ দেশেই ফুটবল একটি জনপ্রিয় খেলা ৷ পা দিয়ে খেলা হয় বলেএর নাম ফুটবল I যে মাঠে ফুটবল খেলা হয় তার মাপ ১২০ ×৮০ গজ I দূ-দলে খেলা হয় I প্রতি দলে ১১ জন করে খেলোয়াড় থাকে I মাঠের দু-দিকে দুটি  গােলপোস্ট থাকে ।‌ খেলোয়াড়েরা সবসময় চেষ্টা করে প্রতিপক্ষ দলকে হারিয়ে বলের দখল নিজেদের কাছে রাখতে এবং গোলপোস্টের মধ্য দিয়ে বল গলিয়ে দিতে I একে গোল করা বলে I যে দল বেশি গোল দেয়, সেই দল জেতে I যে খােলয়ােড় গোল রক্ষা করে তাকে গোলরক্ষক বা গোলকিপার বলে । এখন সারা বছরই ফুটবল খেলা হয়ে থাকে । আগে এই খেলা গরমকালে হত ৷ ফুটবল - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Football | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI ফুটবল - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Football | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI ফুটবল - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Football | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI ফুটবল - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Football | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

এই গরমে তরমুজ খান, নানা দিক থেকে শরীরকে দিন সুরক্ষা

১) অ্যান্টি অক্সিডেন্টের উতস: যখন আপনি একটা লাল টুকটুকে ঠান্ডা তরমুজের টুকরোতে কামড় বসাবেন, তখন হয়তো আপনার মনে অ্যান্টি অক্সিডেন্টের ভাবনাটা আসবে না। কিন্তু এই ফলটির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। আর এইসব উপকারী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শরীর থেকে ফ্রি র‌্যাডিক্যালসকে সরায়, যার ফলে ক্যানসারের সম্ভাবনা প্রতিহত হয়। এতে থাকা লাইকোপেন অ্যান্টি অক্সিডেন্টের জন্যই তরমুজের রং লাল। তরমুজের ভিটামিন সি ও লাইকোপেন ফ্রি র‌্যাডিক্যালসকে অতিরিক্ত ইলেকˆট্রন দেওয়া আটকায়। এর ফলে ফ্রি র‌্যাডিক্যালস বাড়তে বাড়তে সেলুলার ড্যামেজ হওয়া অনেকটা আটকায়। ২) ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়: তরমুজ খেলে মানবশরীরে কিডনি অ্যামাইনো অ্যাসিড এল সাইˆট্রুলিনকে অন্য একটি অ্যামাইনো অ্যাসিড এল আরজিনাইনে রূপান্তরিত করে। এই দুটি অ্যামাইনো অ্যাসিড কিডনিকে সুরক্ষা দেয়, পাশাপাশি এটি ডায়াবেটিসের ঝুঁকিকেও অনেটাই কমায়। সমীক্ষায় দেখা গেছে এল আরজিনাইন সাপ্লিমেন্টেশন শরীরে গ্লুকোজ মেটাবলিজম ও ইনসুলিন সেনসিটিভটি বাড়ায়। ৩) এনার্জি দেয়: অনেকে ওয়ার্কআডটের পরের ড্রিংক হিসাবে তরমুজের রস খাওয়ার নিদান দেন। কেননা এর মধ্যেকার এল সাইˆট...

বিজ্ঞানের দান - বাংলা রচনা | Bengali Essay on The Gift of Science | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

বিজ্ঞানের দান - বাংলা রচনা | Bengali Essay on The Gift of Science | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI বিজ্ঞানের দান ‘বিজ্ঞান’ বলতে আমরা কী বুঝি? ‘বিজ্ঞান’ শব্দের অর্থ হল ‘বিশেষ জ্ঞান’। ব্যবহারিক ক্ষেত্রে আমরা সাধারণত প্রকৃতির অন্তর্নিহিত রহস্যের উপলব্ধি করাকেই বিজ্ঞান বলে থাকি। যাঁরা এই রহস্য উপলদ্ধি করে নানারূপ তথ্য আবিষ্কার করেন, তারাই হলেন প্রকৃত বৈজ্ঞানিক। বিজ্ঞান যে মানুষের ও পৃথিবীর কত উপকার করেছে তা বলে শেষ করা যায় না। বিজ্ঞানকে নানা শ্রেণিতে ভাগ করা যেতে পারে। যেমন—রসায়ন, পদার্থবিদ্যা, গণিতশাস্ত্র ভূ-বিজ্ঞান, জীব-বিজ্ঞান, চিকিৎসা-বিজ্ঞান, খনি-বিজ্ঞান, জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং আরও কত কি! প্রকৃতপক্ষে ধর্ম, কাব্য, উপন্যাস ইত্যাদি থেকে পৃথক সকল রকম বিদ্যাই বিজ্ঞানের অন্তর্গত। বিজ্ঞান চিরসত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত। তার সকল তথ্যের পিছনেই যুক্তি আছে, প্রমাণ আছে। বিজ্ঞানের কল্যাণে আজ আমরা স্থলপথে, জলপথে ও আকাশপথে দ্রুতগামী যানে আরােহণ করে অতি অল্প সময়ের মধ্যেই বহুদূর। অতিক্রম করছি। বিজ্ঞানের কল্যাণে পাচ্ছি বিদ্যুৎ, বেতার, টেলিগ্রাম, টেলিভিশন, কম্পিউটার। বিজ্ঞান চিকিৎসাক্ষেত্রে যুগান...