Skip to main content

বরানগরের ইতিহাস | History of Baranagar

 





একটি দুষ্প্রাপ্য ছবি

চিত্র সৌজন্যে :সৌনক মহারাজ

এই ছবি অতি প্রাচীন । বরানগর কুঠিঘাট সংলগ্ন এলাকা থেকে তোলা বেলুড় মঠের শ্রীরামকৃষ্ণ মন্দির তৈরি চলছে ।

**ছবির সময়কাল অনুমান : খুব সম্ভবত ১৯৩০-১৯৩৮ এর মধ্যবর্তী। কারণ ১৯৩৮ সালে মূল মন্দিরটির তৈরি হয়ে গেছিল।






নীলাম্বরবাবুর বাগান বাড়ীর দ্বিতল বারান্দা থেকে গঙ্গা দর্শন এবং দূরে বরানগর শহর। এখানেই শ্রীমা সারদাদেবী থাকতেন এবং এই বারান্দা থেকেই অপরূপা গঙ্গা দর্শন করতেন।





কাঁচের মন্দির।এখানেই গঙ্গা নদীর ঠিক বিপরীতে বেলুড় মঠ দৃশ্যমান। গঙ্গার প্রবহমান স্রোতের শব্দ আর মন্দিরের এক আশ্চর্য নীরবতা এবং প্রকৃতি এখানে মিলেমিশে এক হয়ে যায়।





ভবতারিণী মায়েরা তিন বোন দুই বোন থাকেন টালাব্রিজের এপারে , মা ভবতারিণীর ছোটবোন ব্রহ্মময়ী কালি বাড়ি বা প্রামানিক কালীবাড়ি ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দে তৈরি হয় এই কালীবাড়ি।  এনাকেই নাকি রামকৃষ্ণদেব "মাসি "বলে ডাকতেন তবে মা  এখানে তালাবন্দি।

ভবতারিণী মা মেজ বোন এরা এই সম্পর্কে বোন যে,এই মূর্তি গুলির কারিগর ছিলেন কাটোয়ার দাই হাটের নবীন ভাস্কর। বর্ধমানের মহারাজা তাকে একটি কষ্টি পাথরের পাহাড় থেকে কিছুটা পাথর উপহার দিয়েছিলেন আর সেই একটি পাথর খন্ড থেকেই এই তিন মূর্তি গুলি তৈরি করেন নবীন ভাস্কর । গর্ভগৃহ হিসেবে  মানানসই মূর্তি মেজো মা ভবতারিণীকে রানী রাসমণির পছন্দ হয়ে যায় সেই থেকেই মা ভবতারিণী দক্ষিণেশ্বরে পূজিত হচ্ছেন।





প্রামানিক ঘাট রোডে প্রামানিক কালীবাড়িতে পূজিত হচ্ছেন ছোটমা ব্রহ্মময়ী।বরানগর বা বরাহনগর একটি উত্তর কলকাতার প্রাচীন জনপদ সপ্তদশ শতকে এখানে ডাচরা একটি কুঠি স্থাপন করেন। এখনও এখানে একটি পাড়ার ও ঘাটের নাম হচ্ছে কুঠিঘাট। বরাহনগর নামের উৎপত্তির অনেক মত, প্রথমতঃ অনেকে বলেন এই গঙ্গার ধারে প্রচুর শুকরের উৎপাত ছিল তাই এর নাম বরাহনগর এবং "স্টেরনসাম মাস্টারের"  লেখনি  রোজনামচা থেকে জানা যায় ১৬৭৬--৭৭ সালে বরানগরে ডাচদের একটা শুয়োরের মাংস জারণ বা ম্যারিনেট করার কারখানা ছিলো। এই তথ্য আমরা হরিসাধন মুখোপাধ্যায়ের  "কলিকাতার সেকাল ও একাল "এর বই থেকে পাই তার জন্য নাকি এইরকম নামকরণ। আরো এক মতে বহু আগে বরাহ নামে এক সিদ্ধ মুনি বাস করতেন তিনি ছিলেন বিক্রমাদিত্যের নবরত্ন সভার বরাহমিহির জ্যোতিষ বিজ্ঞানে বিখ্যাত "ক্ষণা"র শ্বশুর মশাই,ভিন্নমতে হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বঙ্গীয় শব্দকোষ এ "বরহা" বলে যে শব্দটি পাওয়া যায় তার অর্থ ময়ূরপুচ্ছ তিন চারশ বছর আগের থেকেই এই গ্রামে ময়ূর ও ময়ূর পুচ্ছ এর বাজার ছিল। অনুমান করা হয় যে পাশের অঞ্চলেরএই জন্যই বোধহয় নামকরণ হয়েছিল চিড়িয়ামোড় । তাই মনে করা হয় আদি গ্রামটির নাম ছিল বরাহনগর। ৩ অক্টোবর প্রথমেই আমাদের গন্তব্য স্থল ছিল কুটি ঘাটের গঙ্গার ধারে যেখানে আজ থেকে অন্তত 30 -- 35 থেকে 40 বছর আগে আমাদের বরানগর থানা ছিল, এখন যেটা পোড়োবাড়িতে পরিণত হয়েছে, তার পাশেই কৃপাময়ী কালিবাড়ি বা জয় মিত্র কালীবাড়ি কথিত আছে রানী রাসমণিএই স্থাপত্য দেখেই  দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের স্থাপত্য অনুসরণ বা অনুকরণ করেছিলেন এখানেও দেখা যাবে নাট মন্দিরের সামনে মায়ের মন্দির মন্দিরের চারপাশে বারোটি শিবের মন্দির যদিও আজ অযত্নের ফলে চারিপাশে আগাছা ভর্তি সবচেয়ে খারাপ লাগলো মন্দিরের গা ঘেঁষে একটি নির্মীয়মান বহুতল, যেটা আমার চোখে বড্ড বেমানান। 

সতীদাহ ঘাটে এখন যেটা বয়স্কদের বসার ছোট্ট একটি পার্ক , একসময় এইখানে আশেপাশের অঞ্চলের মেয়েদের সতী করা হত। রামকৃষ্ণ সংঘের প্রথম মঠ বরানগর মঠ , যেখানে সর্বপ্রথম স্বামী বিবেকানন্দ তাঁর শিষ্যদের নিয়ে রামকৃষ্ণ সংঘের পথ চলা শুরু করেছিলেন এখনো পর্যন্ত রামকৃষ্ণ সংঘ সেখানে আর্তের সেবা কার্য চালিয়ে যাচ্ছে। পথমধ্যে পড়ল স্বামী বিবেকানন্দের সহপাঠীও প্রিয় বন্ধু দাশরথি সান্যাল মশাই এর বাড়ী  যা কিনা স্বামিজি পদধূলি ধন্য যদিও এখন সেটা বহুতলে পরিণত। বাবা তারকভোলার মন্দির অষ্টধাতু অন্নপূর্ণা মন্দির এখানে নাকি মা অন্নপূর্ণা শাঁখারি র থেকে শাঁখা পরে এসে সেবায়েতের  কাছে শাঁখার দাম নিতে শাঁখারিকে পাঠান এবং সেবাইত মন্দিরে গিয়ে দেখেন বন্ধ মন্দিরে মায়ের হাতে একজোড়া নতুন শাঁখা। বরানগর বাজারের কালী বাড়ির মা যেখান থেকে কিনা রামকৃষ্ণদেব যখন কাশীপুর উদ্যানবাটী যেতেন  মাকে প্রণাম করে তবেই যেতেন।





ঠাকুরের ছবি এবং বরানগরের ভক্ত - এক অজানা কাহিনী

বেলুড় -এ একদিন স্বামী অখণ্ডানন্দ মহারাজ কথাচ্ছলে আমাদের বলেছিলেন - " ঠাকুরের যে ছবি পূজা হয় , তার সম্বন্ধে কিছু জানিস ? " আমরা বিশেষ কিছু জানি না বলাতে তিনি বলেন : " বরানগরের ভক্ত ভবনাথ ( স্বামীজীর বন্ধু )ঠাকুরের ফটো তুলতে চায় । একদিন অনেক অনুরোধ করে । পরদিন বরানগর থেকেই এক ফটোগ্রাফার সঙ্গে নিয়ে এসেছে বিকেলের দিকে । ঠাকুরকে প্রথমে রাজি করাতে পারেনি । ঠাকুর রাধাকান্তের মন্দিরের দিকে চলে গেলেন । 

ইত্যবসরে স্বামীজী এসে পড়েছেন । সব শুনে বললেন , " দাঁড়া , আমি সব ঠিক করছি ।" এই বলে রাধাকান্তের মন্দিরের উত্তরদিকে রকের ওপর যেখানে ঠাকুর বসেছিলেন , সেখানে গেলেন ও তাঁর সঙ্গে ভগবৎ-প্রসঙ্গ আরম্ভ করলেন । ঠাকুর সমাধিস্থ হয়ে গেলেন । স্বামীজী উঠে গিয়ে তাদের ডেকে নিয়ে এসে বললেন , " তাড়াতাড়ি ক্যামেরা ফিট কর । "

সমাধিতে ঠাকুরের শরীর একটু হেলে গিয়েছিল । ক্যামেরাম্যান ঠাকুরের চিবুক ধরে সোজা করে দিতে গেছে , চিবুক ধরা মাত্র ঠাকুরের শরীর হালকা কাগজের মতো হাতের সঙ্গে উঠে পড়েছে । তখন স্বামীজী বললেন " ওকি করছিস , শীঘ্র শীঘ্র ক্যামেরা ফিট কর । " ক্যামেরাম্যান যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি ফটো তুলে নিল । এই ঘটনা ঠাকুর কিছুই জানতেন না । 

কয়েকদিন পরে ভবনাথ যখন প্রিন্ট করা ছবি নিয়ে এল , ঠাকুর দেখে বললেন , " এ মহাযোগের লক্ষণ , এই ছবি কালে ঘরে ঘরে পূজা হবে । "

  •   স্বামী নির্বাণানন্দ




Popular posts from this blog

ভারতে নদীর গুরুত্ব - বাংলা রচনা | Bengali Essay on The Importance of Rivers in India | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

ভারতে নদীর গুরুত্ব - বাংলা রচনা | Bengali Essay on The Importance of Rivers in India | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI ভারতে নদীর গুরুত্ব উচ্চ পর্বত বা উচ্চভূমি থেকে নির্গত হয়ে নদী যখন সুদীর্ঘ অঞ্চলের মধ্য দিয়ে সাগরের দিকে প্রবাহিত হয়, তখন তা অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সৃষ্টি করে। কিন্তু শুধু প্রাকৃতিক শােভা সৃষ্টি করাই নদীর কাজ নয়। মানবসভ্যতায় নদীর অন্যান্য গুরুত্ব অসীম। বিশেষত সুপ্রাচীনকাল থেকেই ভারতীয় সভ্যতায় নদীর গুরুত্ব অপরিসীম। ভারতের সর্বাপেক্ষা প্রাচীন সভ্যতা সিন্ধু সভ্যতা সিন্ধু নদীর উপত্যকায় গড়ে উঠেছিল। বৈদিক সভ্যতার কালেও নদীর তীরেই অধিকাংশ রাজধানী ও নগর স্থাপিত হয়েছিল। দৃষ্টান্তস্বরূপ গঙ্গানদীর তীরে অবস্থিত কাশী, পাটলিপুত্র ইত্যাদি নগরের নাম উল্লেখ করা যায়। এছাড়া নদীগুলি যাতায়াতের এবং মালপত্র পরিবহনের প্রধান উপায় ছিল। দক্ষিণ ভারতের নদীগুলিতে বছরের সবসময় পর্যাপ্ত জল থাকে না এবং আরও নানা কারণে এগুলি সারাবছর পরিবহনের উপযুক্ত থাকে না। কিন্তু উত্তর ভারতের গঙ্গা, ব্ৰত্মপুত্র এবং অন্যান্য বহু নদীতে সারাবছর প্রচুর জল থাকে বলে পরিবহন, জলসেচ ইত্যাদি কাজে এগু...

গ্রামের হাট - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Village Market | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

গ্রামের হাট - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Village Market | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI গ্রামের হাট গ্রামে বেচাকেনার মাধ্যম হল হাট। কতগুলাে গ্রামকে কেন্দ্র করে হাট গড়ে ওঠে। সেই হাটেই গ্রামের মানুষেরা তাদের প্রয়ােজনীয় জিনিস ক্রয়-বিক্রয় করে। কোথাও নদীর ধারে, রাস্তার পাশে আবার কোথাও বা গাছের নীচে হাট বসতে দেখা যায়। আশেপাশের বেশকিছু গ্রামের সঙ্গে হাটের যােগাযােগ থাকে। বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ গ্রামের হাটে জিনিসপত্র বিক্রি করতে আসে। গােরুর গাড়ি অথবা ভ্যান ও রিক্সা করে হাটে জিনিসপত্র আনা হয়। এ গ্রামে সন্ধে পর্যন্ত মানুষের আনাগােনা চলে ।এই হাটে। এক কথায় হাট হল মানুষের মিলনক্ষেত্র। বিভিন্ন আত্মীয়-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব এদের সাথে যােগাযােগ রক্ষা করে হাট। মানুষের সাথে মানুষের সুখ-দুঃখের আদান প্রদান ঘটে এই হাটে। গ্রামের হাট - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Village Market | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI গ্রামের হাট - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Village Market | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI গ্রামের হাট - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Village Ma...

দেশগঠনে ছাত্রসমাজ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Student Society in The Formation of The Country | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

দেশগঠনে ছাত্রসমাজ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Student Society in The Formation of The Country | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI  দেশগঠনে ছাত্রসমাজ জওহরলাল নেহরু বলেছিলেন, ইংরেজরা আমাদেরকে যে স্বাধীনতা দিয়েছে তা এক বিধ্বস্ত ভস্মীভূত প্রাচীন প্রাসাদকে পুনর্গঠিত করবার স্বাধীনতা।মহান ঐতিহ্যসম্পন্ন এই সুবিশাল দেশ ইংরেজ শাসনের যুগে ক্রমাগত অত্যাচারিত ও শােষিত হওয়ার ফলে এক অস্থিচর্মসার ম্রিয়মানা রােগিণীর অবস্থা লাভ করেছে। এই ম্রিয়মাণা রােগীকে পুনরায় সুস্বাস্থ্যের অধিকারিণী করে স্বমর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। কিন্তু কে তা করবে? দেশগঠনের কাজে তাই এগিয়ে আসতে হবে বর্তমানের তরুণসমাজকে, বর্তমানের ছাত্রসমাজকে। তারই জন্য পূর্বপ্রস্তুতি প্রয়ােজন। অভিভাবকেরা কোনােমতে যখন বর্তমানে তাদের মুখে দু-মুঠো অন্ন তুলে দিতে পারছেন, তখন এটাই ভবিষ্যৎ প্রস্তুতির অবসর।এই প্রস্তুতির জন্য প্রথমেই প্রয়ােজন কিছু গঠনমূলক কাজের অভ্যাস। দেশ বলতে দেশের ভৌগােলিক রূপ যেমন বােঝায়, তেমন দেশের মানবসমাজও বােঝায়। এই দুই উপাদানের কথা মনে রেখেই কাজ শুরু করতে হবে। ঘর এবং ঘরের বাইর পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। প...

আমাদের বিদ্যালয় - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Our School | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

আমাদের বিদ্যালয় - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Our School | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI আমাদের বিদ্যালয় আমাদের বিদ্যালয়ের নাম শালবাগান অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় ৷ বিদ্যালয়টি  উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসাতে অবস্থিত I বিদ্যালয়ের দেয়ালগুলি ইটের, তবে ছাউনি টালির। বিদ্যালয়ের পাঁচটি ঘরে বেঞ্চি, চেয়ার, টেবিল ও ব্ল্যাকবোর্ড আছে ৷ আমাদরে বিদ্যালয়ে প্রায় ১৬০ জন ছাত্রছাত্রী এবং ছয়জন শিক্ষক শিক্ষিকা আছেন । আমাদের বিদ্যালয়ে  প্রতি বছর সরস্বতী পুজাে , স্বাধীনতা দিবস , প্রজাতন্ত্র দিবস ও বিভিন্ন মহাপুরুষের জন্মদিবস পালন করা হয় । আমাদের এই বিদ্যালয়টিকে আমার খুব ভালো লাগে । আমাদের বিদ্যালয় - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Our School | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI আমাদের বিদ্যালয় - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Our School | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI আমাদের বিদ্যালয় - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Our School | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

শৃগালের ধূর্ততা - বাংলা রচনা | Bengali Essay on The Cunning of The Jackal | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

শৃগালের ধূর্ততা - বাংলা রচনা | Bengali Essay on The Cunning of The Jackal | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI  শৃগালের ধূর্ততা শৃগাল স্বভাবতই চতুর। অন্যান্য প্রাণীদের তুলনায় এদের চতুরতা সর্বাধিক। নিজ স্বার্থ সম্বন্ধে সে সর্বদাই সজাগ। চিরদিনই পরকে ঠকিয়ে নিজের স্বার্থসিদ্ধি করে নিতে বিশেষ পটু। এ বিষয়ে বহু গল্প প্রচলিত আছে। শৃগালের ধূর্ততার জন্যই বােধ হয় গল্পে শেয়াল পণ্ডিতরূপে তাকে ব্যঙ্গ করা হয়েছে। ধূর্ততা প্রসঙ্গে শৃগালের দলবদ্ধতা গুণটিরও উল্লেখ করা প্রয়ােজন। এরা সকলে একসঙ্গে বাস করতে ভালােবাসে। রাত্রিকালে শৃগাল যখন আহারের সন্ধানে বের হয় তখন যে কোনাে একজন বিপদে পড়লে সকলে মিলে বুদ্ধি খাটিয়ে তাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করতে চেষ্টা করে। কাক চতুর সন্দেহ নেই, কিন্তু শৃগালের ধূর্ততার কাছে কাকও বােধ হয় পরাজিত হয়। শৃগালের ধূর্ততা - বাংলা রচনা | Bengali Essay on The Cunning of The Jackal | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI  শৃগালের ধূর্ততা - বাংলা রচনা | Bengali Essay on The Cunning of The Jackal | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI  শৃগালের ধূর্ত...

এই গরমে তরমুজ খান, নানা দিক থেকে শরীরকে দিন সুরক্ষা

১) অ্যান্টি অক্সিডেন্টের উতস: যখন আপনি একটা লাল টুকটুকে ঠান্ডা তরমুজের টুকরোতে কামড় বসাবেন, তখন হয়তো আপনার মনে অ্যান্টি অক্সিডেন্টের ভাবনাটা আসবে না। কিন্তু এই ফলটির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। আর এইসব উপকারী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শরীর থেকে ফ্রি র‌্যাডিক্যালসকে সরায়, যার ফলে ক্যানসারের সম্ভাবনা প্রতিহত হয়। এতে থাকা লাইকোপেন অ্যান্টি অক্সিডেন্টের জন্যই তরমুজের রং লাল। তরমুজের ভিটামিন সি ও লাইকোপেন ফ্রি র‌্যাডিক্যালসকে অতিরিক্ত ইলেকˆট্রন দেওয়া আটকায়। এর ফলে ফ্রি র‌্যাডিক্যালস বাড়তে বাড়তে সেলুলার ড্যামেজ হওয়া অনেকটা আটকায়। ২) ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়: তরমুজ খেলে মানবশরীরে কিডনি অ্যামাইনো অ্যাসিড এল সাইˆট্রুলিনকে অন্য একটি অ্যামাইনো অ্যাসিড এল আরজিনাইনে রূপান্তরিত করে। এই দুটি অ্যামাইনো অ্যাসিড কিডনিকে সুরক্ষা দেয়, পাশাপাশি এটি ডায়াবেটিসের ঝুঁকিকেও অনেটাই কমায়। সমীক্ষায় দেখা গেছে এল আরজিনাইন সাপ্লিমেন্টেশন শরীরে গ্লুকোজ মেটাবলিজম ও ইনসুলিন সেনসিটিভটি বাড়ায়। ৩) এনার্জি দেয়: অনেকে ওয়ার্কআডটের পরের ড্রিংক হিসাবে তরমুজের রস খাওয়ার নিদান দেন। কেননা এর মধ্যেকার এল সাইˆট...

বিজ্ঞানের দান - বাংলা রচনা | Bengali Essay on The Gift of Science | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

বিজ্ঞানের দান - বাংলা রচনা | Bengali Essay on The Gift of Science | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI বিজ্ঞানের দান ‘বিজ্ঞান’ বলতে আমরা কী বুঝি? ‘বিজ্ঞান’ শব্দের অর্থ হল ‘বিশেষ জ্ঞান’। ব্যবহারিক ক্ষেত্রে আমরা সাধারণত প্রকৃতির অন্তর্নিহিত রহস্যের উপলব্ধি করাকেই বিজ্ঞান বলে থাকি। যাঁরা এই রহস্য উপলদ্ধি করে নানারূপ তথ্য আবিষ্কার করেন, তারাই হলেন প্রকৃত বৈজ্ঞানিক। বিজ্ঞান যে মানুষের ও পৃথিবীর কত উপকার করেছে তা বলে শেষ করা যায় না। বিজ্ঞানকে নানা শ্রেণিতে ভাগ করা যেতে পারে। যেমন—রসায়ন, পদার্থবিদ্যা, গণিতশাস্ত্র ভূ-বিজ্ঞান, জীব-বিজ্ঞান, চিকিৎসা-বিজ্ঞান, খনি-বিজ্ঞান, জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং আরও কত কি! প্রকৃতপক্ষে ধর্ম, কাব্য, উপন্যাস ইত্যাদি থেকে পৃথক সকল রকম বিদ্যাই বিজ্ঞানের অন্তর্গত। বিজ্ঞান চিরসত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত। তার সকল তথ্যের পিছনেই যুক্তি আছে, প্রমাণ আছে। বিজ্ঞানের কল্যাণে আজ আমরা স্থলপথে, জলপথে ও আকাশপথে দ্রুতগামী যানে আরােহণ করে অতি অল্প সময়ের মধ্যেই বহুদূর। অতিক্রম করছি। বিজ্ঞানের কল্যাণে পাচ্ছি বিদ্যুৎ, বেতার, টেলিগ্রাম, টেলিভিশন, কম্পিউটার। বিজ্ঞান চিকিৎসাক্ষেত্রে যুগান...

জাতীয় সংহতি ও বিচ্ছিন্নতাবাদ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on National Solidarity And Separatism | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

জাতীয় সংহতি ও বিচ্ছিন্নতাবাদ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on National Solidarity And Separatism | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI জাতীয় সংহতি ও বিচ্ছিন্নতাবাদ জাতীয় সংহতি বলতে বােঝায় কোনাে জাতির জনসাধারণের মধ্যে একতার মনােভাব। বস্তুতপক্ষে যে-কোনাে স্বাধীন রাষ্ট্রের সার্বিক উন্নতির মূলে সর্বাগ্রে প্রয়ােজন দেশের জনগণের মধ্যে নিবিড় ঐক্যবােধ। দেশের মানুষ যদি ঐক্যবদ্ধ হয় ও সম্মিলিতভাবে কাজ করে, তবে সে দেশ ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে এগিয়ে যায়। জাতীয় সংহতি কেবল জাতির উন্নতিসাধনই করে না—দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে এবং বৈদেশিক শাসন প্রতিহত করে। তাই যে-কোনাে স্বাধীন রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও উন্নতির মূলশক্তি হল জাতীয় সংহতি।ভারতবর্ষ বহু জাতি, ধর্ম ও সম্প্রদায়ের দেশ। এখানে বৈচিত্র্য রয়েছে অনেক। এই বৈচিত্র্যহেতু ইতিহাসের বিভিন্ন পর্বে বিরােধ-সংঘাতও যথেষ্ট হয়েছে। কিন্তু সেটাই বড়াে কথা নয়, বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যসাধনই ছিল ইতিহাসের লক্ষ্য। ভারতবর্ষের ইতিহাসের প্রধান সার্থকতা এই বৈচিত্র্যের মধ্যেঐক্যসাধন। ভারতবর্ষ অধিকার করে ব্রিটিশ শাসক উপলব্ধি করেছিল এ দেশের মূলশক্তি—নিবিড় জাতীয়ত...

একটি গাছ একটি প্রাণ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on A Tree A Life | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

একটি গাছ একটি প্রাণ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on A Tree A Life | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI একটি গাছ একটি প্রাণ “আয় আমাদের অঙ্গনে অতিথি বালক তরুদল— মানবের স্নেহ অঙ্গনে চল্ আমাদের ঘরে চল্।” —রবীন্দ্রনাথ বৃক্ষ মানুষের আপনজন, জননীতুল্য। বৃক্ষই পৃথিবীতে প্রাণের অগ্রদূত। মানুষের আগমনের পূর্বেই সে পৃথিবীতে এসে মানুষের জন্য খাদ্য এবং শীতল ছায়া দিয়ে প্রতীক্ষা করছিল তার আবির্ভাবের বিশ্বকবির কবিতায় গাছ ‘আদিপ্রাণ'। কিন্তু বর্তমান শহরকেন্দ্রিক সভ্যতায় কৃতঘ্ন মানুষ নিজহস্তে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে ধোঁয়ায় পরিপূর্ণ পরিবেশ। তবে ধীরে ধীরে বৃক্ষরােপণের প্রয়ােজনীয়তা মানুষের মধ্যে শুভবােধ জাগ্রত করছে। আমাদের দেশের বনভূমি জাতীয় উৎপাদনে এক উল্লেখযােগ্য ভূমিকা পালন করে। এই বনভূমি কেটে ফেলার অর্থ মরুভূমির সূচনা, মৃত্যুপুরীর আহ্বান। অর্থাৎ অনাবৃষ্টি, খরা, অনুর্বর শস্যখেত, দূষিত পরিবেশ। অরণ্যায়নের মাধ্যমে সম্ভব হয় মরুভূমির বশীকরণ। বৃক্ষরােপণের উদ্দেশ্যই হল অরণ্যের তরু শিশুদলকে মানব সমাজের সান্নিধ্যে আহ্বান করা। পর্যাপ্ত সংখ্যক বৃক্ষরােপণ দিতে পারে ধরণীর ক্ষতবেদনা নিরাময় কর...

খেলাধুলা ও শরীরচর্চা - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Sports and Exercise | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

খেলাধুলা ও শরীরচর্চা  - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Sports and Exercise | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI খেলাধুলা ও শরীরচর্চা অথবা, আমাদের স্বাস্থ্য, আমাদের মন দুর্বল শরীর মনের বিকাশে বাধা দেয়। মানুষের মনের ইচ্ছা পূরণে সবল দেহ প্রয়ােজন। তেমন প্রয়ােজন সুস্বাস্থ্য। শরীর ও মনের উপর নির্ভর করে পড়াশুনা। শরীর সুস্থ না থাকলে বিদ্যায় মন বসবে না। প্রাচীনকালে ছেলেরা যখন গুরুগৃহে থাকত, তখন গুরুর সমস্ত কাজই তারা করত। ফুল তােলা, কাঠ সংগ্রহ করা, গােরু চরানাে, জমি চাষ করা এসব তারা করত। ফলে তপােবনের সেই পরিবেশে শারীরিক শ্রমটাও পড়াশুনার সময় হত। বর্তমানে মানুষের কাজের চাপ বেড়েছে। ছেলেদের পড়ার চাপও বেড়েছে। এখন খেলা করাটা যেন অন্যায় কর্ম। অথচ খেলােয়াড়দের সঙ্গে করি, তাদের নিয়ে হইচই করি। খেলাধুলা না করার ফলে অনেকের সঙ্গে বন্ধুত্ব করার সুযােগ থাকে না। আমরা প্রতিদিনের আনন্দ থেকে বঞ্চিত থাকি। তাছাড়া আমাদের সুস্বাস্থ্য গঠিত হয় শরীরচর্চার মাধ্যমে। তাই শরীরচর্চা ও খেলাধুলা করতেই হবে। কেননা, আমাদের স্বাস্থ্য আমাদের হাতে। খেলাধুলা ও শরীরচর্চা  - বাংলা রচনা | Bengali Essay on ...