যত্নে সাজানো বেডরুম
দিনের শেষে নিজের মতো সময় কাটানো বা আরামের ঘুমের জন্য রয়েছে মাস্টার বেডরুম। তাকে নিজস্বতার ছোঁয়া দিতে দরকার একটু প্রাণের স্পর্শ।
সারাদিনের কাজের শেষে আরামে ঘুমনোর নিশ্চিন্ত ঠিকানা আপনার মাস্টার বেডরুম। আর শুধু তো ঘুমনোর জন্য নয়, ধোঁয়া ওঠা কাপে চুমুক থেকে জানলার ধারে বসে বই পড়া, বা নরম গদিতে গা এলিয়ে ল্যাপটপে সিনেমা দেখা... মোট কথা, আপনার রিল্যাক্সেশন স্পেস ওই মাস্টার বেডরুমটিই। নিজের এই পার্সোনাল স্পেসটাকে তাই সাজান যতনে।
- বেডরুমের আনাচ-কানাচে থাক কিছু প্রাণের ছোঁয়া। ছোট টবে কয়েকটি ইনডোর প্ল্যান্ট রেখে দিন। ঘরের ডেকরেশনে রং আর প্যাটার্নের ছোঁয়া তো আনবেই, সঙ্গে মনকে তরতাজা অনুভব করাতেও গাছের জুড়ি নেই।
- মাস্টার বেডরুমে নাইট লাইট রাখা খুবই জরুরি। রাতে নানা কারণেই এর প্রয়োজন পড়তে পারে। সিলিং থেকে ঝোলানো পেনড্যান্ট লাইট, দেওয়ালে লাগানো আলো বা টেবল ল্যাম্প, ছোট্ট একটা আলোতেও রাখুন আপনার রুচিবোধের ছাপ। ঘরের লুক নিমেষে বদলে যাবে।
- বিছানাটা তো আরামদায়ক হতেই হবে! তাই দরকার নানা রকম শেপ ও সাইজ়ের নরম বালিশ। বালিশগুলো যতটা সম্ভব একই কালার ফ্যামিলির রাখুন। একটা বা দুটো রঙের কম্বিনেশন বেছে নিয়ে সেটারই হালকা ও গাঢ় শেড মিলিয়ে বালিশ কিনুন।
- বিছানার পাশাপাশি ঘরে একটা লাউঞ্জ এরিয়া রাখার চেষ্টা করুন। স্বাভাবিকভাবেই, সব মাস্টার বেডরুমে এতটা অতিরিক্ত জায়গা না-ও থাকতে পারে। যদি আপনার বেডরুমে থাকে, তাহলে দুটো আরামদায়ক সোফা-চেয়ার আর একটা ছোট্ট সেন্টার টেবলই যথেষ্ট। কাজ করা থেকে বই পড়া, যে কোনও কাজে প্রয়োজন হবে ওই স্পেসটুকুর। ছোট বেডরুমের জন্য ঘরের এক কোণায় একটা ছোট কিন্তু আরামদায়ক কাউচও রেখে দিতে পারেন।
- আর-একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ, বেডসাইড টেবল। বিছানার দু’দিকেই সম্ভব না হলেও, অন্তত একদিকে একটা ছোট টেবল রাখতেই হবে। তাতে থাক একটা ছোট্ট পটেড প্ল্যান্ট, একটা টেবল ল্যাম্প ও একটা টেবল ক্লক। তবে টেবলের কিছুটা জায়গা অবশ্যই খালি রাখবেন। রাতে শোওয়ার সময় জলের বোতল থেকে শেষ মুহূর্তে ফোন বা বই, রাখতে হতে পারে অনেক কিছুই।
- বাড়ির অন্য ঘরের দেওয়ালে যত খুশি রঙের ছোঁয়া রাখলেও, মাস্টার বেডরুমে দেওয়ালের রং রাখুন হালকা ও মনোরম। ঘরকে শান্ত ও সুদিং এফেক্ট দেওয়ার জন্য সঠিক রং বাছা গুরুত্বপূর্ণ। তবে দেওয়ালে কিছুটা প্যাটার্ন যোগ করাও দরকার। তাই বিছানার মাথার দিকের দেওয়ালে ক’টা পেন্টিং বা পছন্দের কোনও ফ্যাব্রিকও ফ্রেম করে লাগিয়ে রাখতে পারেন। অন্য কোনও দেওয়ালে ছোট ছোট ফোটো ফ্রেম লাগাতে পারেন কোলাজ করে।